স্বদেশ ডেস্ক:
ক্রিকেটারদের ১১ দাবির প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন। এরপর সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন খেলোয়াড়দের সংগঠন (ক্রিকেটার ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ) কোয়াব সভাপতি নাইমুর রহমান দুর্জয়।
খেলোয়াড়দের দাবি অনুযায়ী কোয়াব সভাপতি পদত্যাগ করবে কি না জানতে চাইলে দুর্জয় বলেন, পদত্যাগ তো চাইলেই করা যাবে না। কোয়াবের সংবিধান আছে, নিয়ম আছে। নিয়মের বাইরে তো কিছুই করা যাবে না।
তবে, খেলোয়াড়রা যদি নতুন নেতৃত্ব চাইলে নেতৃত্বে পরিবর্তন আসবে। কোয়াবের সভাপতির পদ আঁকড়ে ধরে থাকতে চাই না। নতুন কেউ চাইলে আসতে পারবে।
তিনি বলেন, বর্তমান খেলোয়াড়দের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে অবহেলিত অংশে আমরা খেলেছি। ঘরোয়া ক্রিকেটের অবস্থাও তখন খারাপ ছিল।
তিনি আরো বলেন, আমরা বলেছি টেস্টকে গুরুত্ব দেয়া উচিত। এছাড়া, বোর্ডও খেলোয়াড়দের সাথে যথেষ্ট আন্তরিক। আগে তো বোর্ডে খেলোয়াড়রা ঢুকতেই পারতো না। সেখানে খেলোয়াড়দের প্রবেশ নিষেধ ছিল। সেখান থেকে এই অবস্থার যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। বোর্ড প্রেসিডেন্ট খেলোয়াড়দের সাথে সরাসরি কথা বলেন। তাদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেন। কোয়াবের পক্ষ থেকেও এব্যাপারে যথাসাধ্য চেষ্টা করা হয়ে থাকে।
দুর্জয় বলেন, আগে বোর্ডে কেউ ঢোকার সুযোগ পেত না। বারান্দা পর্যন্ত ঘুরেই চলে আসতে হতো। সেখান থেকে আমরা বোর্ড মিটিংয়ে খেলোয়াড়দের থাকার সুযোগ করেছি। খেলোয়াড়দের বিভিন্নভাবে সুযোগ দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছেছে। খেলোয়াড়দের অবস্থা ভেদে চাকুরির ব্যবস্থা করেছে কোয়াব।
ক্রিকেটারের প্রথম দফাটাই ছিল ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (কোয়াব) বর্তমান কমিটি ভেঙে দেওয়া।
এরআগে বিসিবি সভাপতি বলেন, সাকিব-তামিমদের আচরণে আমরা অসন্তুষ্ট। এটা মোটেও কাম্য নয়। আমরা এসব বিষয়ে কিছুই জানি না। তারা আমাদের সঙ্গে (দাবিগুলোর বিষয়ে) আলোচনা করতে পারত। তাদের সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক রয়েছে। অতীতে তাদের সব চাওয়া আমরা পূরণ করেছি।
পাপন বলেন, আমাদের না জানিয়ে হঠাৎ খেলা বন্ধ করে দেয়া একটা চক্রান্ত। জিম্বাবুয়ের মতো বাংলাদেশের ক্রিকেটকে বিশ্বে নিষিদ্ধ করার ষড়যন্ত্র চলছে। কারা এর সঙ্গে জড়িত আমরা তা জানি। তাদের খুঁজে বের করা হবে। আমার মতে, দু’একজন ক্রিকেটার এতে নেতৃত্ব দিচ্ছে। বাকিরা না বুঝে আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন।